মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির অবৈধ নির্বাচন বাতিলের জন্য নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেন অভিভাবক ও অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছিদ্দিকুর রহমান, মো ইকবাল হোসেন, মতিন মিয়া, আব্দুল বারেক, আব্দুল সালাম। ৬ মার্চ সকাল ১১টায় অভিভাবক ও অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে এ অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচনের ভোটার তালিকায় শিক্ষা বোর্ড প্রভিধানমালা মোতাবেক প্রণিত ভোটার তালিকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা বা মাতা যে কোন একজনের নাম তালিকায় অন্তভূক্ত করার বৈধ নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম লঙ্গন করে পিতা-মাতা উভয়কে ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রার্থী হওয়ার কোন রকম সুযোগ নেই। তারপরও অসাধু কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের কারণে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। যা ম্যানিজিং কমিটির প্রভিধানমালা-২০০৯ এর পরিপন্থী। ভোটার তালিকায় পিতা-মাতা উভয়ের নাম থাকায় দ্বৈত ভোট প্রদান করা হয়েছে। যা গুরুত্বর অনিয়ম ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনার পরিপন্থী। আব্দুল ছাত্তার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কিন্তু উনার ছেলে ২০১৮ সালের দশম শ্রেণীর ছাত্র। আব্দুল ছাত্তার অবৈধভাবে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নির্বাচনের পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিহিত করা হয়েছে। কৃঞ্চনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার সচিব থাকায় ভোটার তালিকার দায়িত্ব দিয়েছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে। তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আমি সচিবের দায়িত্ব পালন করায় সহকারি শিক্ষক জয়নাল আবেদীন স্যারকে ভোটার তালিকার দায়িত্ব দেওয়ার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুছরাত জাহান বলেন, কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।